বিদেশি মনীষীদের চোখে ভারত

profile
Jayanta Shekhar Roy
Jan 28, 2019   •  31 views

ল্যান্সলট থমাস হজবেন:(১৮৯৫-১৯৭৫)

পরিচিতি:

ইনি ছিলেন প্রখ্যাত জীববিজ্ঞানী
, বিজ্ঞানের ভাষ্যকার, সাম্যবাদী এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান বিষয়ক পরিসংখ্যানবিদ। তার বিশেষ অবদান হচ্ছে, জীব বিজ্ঞানের গবেষণার উপযোগী জেনোপাস লেভিসের আবিষ্কার।

উদ্ধৃতি: গণিত শাস্ত্রের ইতিহাসে গণনা শৃংখলার শুরুতে শূন্যের মতো সাংকেতিক চিহ্নের যুগান্তকারী উদ্ভাবনের চেয়ে বেশি বিস্ময়কর আর কিছু ছিল না।

উৎস: ম্যাথমেটিক্স ফর দ্য মিলিয়ন।

স্ট্যানলি ওলপার্ট:(১৯২৭)

পরিচিতি:

উনি আমেরিকার অন্যতম লেখক ও ঐতিহাসিক। তাকে সারা বিশ্বের মধ্যে ভারত এবং পাকিস্তানের রাজনৈতিক

এবং বুদ্ধি ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ রচয়িতা বলে মান্যতা দেওয়া হয়। তিনি লস এঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বহুদিন অধ্যাপনা করেন।

উদ্ধৃতি: গণিত শাস্ত্রের মত বিজ্ঞানে ভারতীয়দের অবদান সর্বাধিক। সমগ্র বিশ্বের বিজ্ঞানে রাশির স্থানাঙ্ক নির্ণয়, দশমিক পদ্ধতি, 1 থেকে 9 এর সংখ্যার সাংকেতিক চিহ্ন এবং সর্বব্যাপী শূন্যের আবিষ্কার, ভারতীয়দের অসামান্য প্রতিভার প্রতীক। ওই গুলির অভাবে আধুনিক যুগের কম্পিউটার, পৃথিবী থেকে নিক্ষিপ্ত উপগ্রহ, মাইক্রোচিপ্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণা অসম্ভব হতো।সমস্ত সংখ্যার মধ্যে শূন্য যা সবচেয়ে ছোট অথচ সব থেকে মহত্তপূর্ণ, তা মানব জাতিকে দেওয়া ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার।

উৎস: অ্যান্ড ইন্ট্রোডাকশন টু ইন্ডিয়া।

পল উইলিয়াম রবার্টস:(১৯৫০)

পরিচিতি:

ইনি কানাডার অন্যতম বিদ্বান, উপন্যাসিক, সাহিত্য সমালোচক, সাংবাদিক, চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক। তিনি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত ভাষা অধ্যয়ন করেন। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন।

উদ্ধৃতি: সমস্ত ক্ষণস্থায়ী নশ্বর জগতের পশ্চাতে বেদ পরম সত্তাকে দর্শন করে। সমগ্র সৃষ্টি আমাদেরকে স্রষ্টার কাছে নিয়ে যায়, পরম সত্যে উপনীত করে, সেখানে সৃষ্টি এবং স্রষ্টা একীভূত হয়ে গিয়েছে।

উদ্ধৃতি: আজ পর্যন্ত যা কিছু লেখা হয়েছে তার মধ্যে বেদ একমাত্র বিশুদ্ধ শাশ্বত সত্য প্রকাশ করে। আর এদের জন্যই আমি প্রথম ভারতে আসি, এখানে থেকেছিলাম এবং সেই দেশ এখনো আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে।

উদ্ধৃতি: ভারতের একমাত্র দেশ যেখানে আমি স্বদেশে গৃহের ন্যায় স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করি।আর এই একমাত্র দেশ যেখানে উড়োজাহাজ থেকে নেমেই, আমি তার মাটি চুম্বন করেছিলাম।

উৎস: এম্পায়ার অব দ্য সোল-সাম জার্নিস ইন ইন্ডিয়া।
আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুনন

মার্কাস দ্রুত সাটয়:(১৯৬৫)

পরিচিতি:

ইনি একজন বিশিষ্ট গণিতজ্ঞ। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় গণিত শাস্ত্রের অধ্যাপক পদে নিযুক্ত ছিলেন বহু দিন। ইনি ইংল্যান্ডে 'ম্যাথমেটিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের' সভাপতি হন। সারা জীবনে তিনি অনেক পুরস্কারে সম্মানিত হন। তার বিশেষ অবদানটি হল 'গ্রুপ'এবং 'নাম্বার' থিওরিতে গবেষণা। তিনি গবেষণার কাজে ভারতে আসেন এবং ভারতীয় ঋষিদের প্রজ্ঞার দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত হন। কার লেখা সবচেয়ে জনপ্রিয় গ্রন্হগুলি হল 'দ্য মিউজিক অফ দ্য প্রাইমস'এবং এ ম্যাথমেটিক্যাল ওডিসিএভরিডে লাইফ'।

উদ্ধৃতি: বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমি (পাই)-এর প্রেমে পড়েছিলাম। ভগ্নাংশের ক্রমান্বয়ে যোগ এবং বিয়োগ এর রাশিমালা দ্বারা (পাই) কে প্রকাশ করা যায়।আমাদের পাঠ্যক্রমে শেখানো হয়েছিল যে এটা অষ্টাদশ শতাব্দীর বিখ্যাত জার্মান গণিতবিদ গটফ্রিড লিবনিজের আবিষ্কৃত 'লিবনিজ সূত্র'। তিনি ক্যালকুলাসের সাহায্যে এই 'পাই'এর নির্ণয় করেন। স্যার আইজ্যাক নিউটন এবং লিবনিজ বিখ্যাত হয়েছিলেন ওই ক্যালকুলাস-এর কারণে।

উদ্ধৃতি: আমি প্রচন্ড ধাক্কা পেয়েছি সম্প্রতি যখন আমি জানতে পারি যে দক্ষিণ ভারতের 'কেরল' প্রদেশে ভারতীয় গণিতজ্ঞরা বহু শতাব্দি পূর্বেই এই সূত্রের ব্যবহার জানতেন। কার্যত এই সূত্রের নাম হওয়া উচিত ছিল 'মাধব সূত্র' সেই মহান ভারতীয় গণিতবিদদের নাম অনুসারে যিনি প্রথম উদ্ভাবন করেছিলেন।ভারতে, (পাই)-ই একমাত্র অবিস্মরণীয় গণিতের আবিষ্কার ছিল না, ঋণাত্মক সংখ্যা এবং শূন্যের ধারনা যা চতুর্দশ শতাব্দীর শেষ দিকে ইউরোপে এসেছিল তা আসলে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রচলিত ছিল সপ্তম শতাব্দীর প্রথম ভাগ থেকেই।

উৎস: দ্য টেলিগ্রাফ, বেশি,ইউ.কে.।
আরও পড়তে এখানে ক্লি ক করুন